Last Updated on 12 months ago by Shaikh Mainul Islam
দেশের অন্যতম পুরনো বিখ্যাত এবং ঐতিহাসিক জেলা বাগেরহাট। বাগেরহাট ভ্রমণ করার আগে বাগেরহাট কিসের জন্য বিখ্যাত এবং বাগেরহাটের কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানা উচিত
প্রিয় পাঠক, স্বাগত Dainik Kantha এর আজকের পোস্ট “বাগেরহাট কিসের জন্য বিখ্যাত । বাগেরহাটের ঐতিহাসিক স্থান সমূহ” এ।
আজকের পোষ্টে আমরা বাগেরহাট কিসের জন্য বিখ্যাত, বাগেরহাটের ঐতিহাসিক স্থান সমূহ, বাগেরহাটের উৎপাদিত রপ্তানিজাত পণ্য সমূহ সহ এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানবো।
বাগেরহাট কিসের জন্য বিখ্যাত
মূলত বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দর্শনীয় স্থান ষাট গম্বুজ মসজিদ, খান জাহান আলী দিঘী, সুন্দরবন এবং উৎপাদনে এগিয়ে থাকা চিংড়ি, নারকেল ও সুপারি এর জন্য সু পরিচিত এবং বিখ্যাত জেলা বাগেরহাট।
অন্যতম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দর বনের অনেক বড় একটি অংশ বাগেরহাট জেলার অন্তর্গত। রয়েছে বঙ্গোপসাগরের একটি অংশ। এছাড়াও রয়েছে অন্যান্য পুরনো নিদর্শন।
হাসের গোশ, শেয়াই পিঠা থেকে শুরু করে অনেক অনেক ঐতিহ্যবাহী খাবারের জন্যেও সমৃদ্ধ বাগেরহাট। এছাড়াও রয়েছে অতিথিপরায়ণ হিসেবে সুপরিচিতি।
তবে, সাধারণত ষাট গম্বুজ মসজিদ, খান জাহান আলী দিঘী, সুন্দরবন এবং চিংড়ি, নারকেল, সুপারির জন্য বাগেরহাট জেলা বিখ্যাত একটি জেলা।
বাগেরহাটের ঐতিহাসিক স্থান সমূহ
বাগেরহাট অনেক পুরনো একটি জেলা শহর। এই জেলায় একাধিক ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান আছে। প্রায় ২০ টির বেশি ঐতিহাসিক স্থান আছে এই জেলায়।
উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক স্থান সমূহ হচ্ছেঃ
- ষাট গম্বুজ মসজিদ। (দেশ এমনকি সারা বিশ্বের মধ্যে ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান ষাট গম্বুজ মসজিদ)। এটি বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের একটি। বাগেরহাট শহরটিকেই বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেওয়া হয় এর কারণে। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে ইউনেস্কো এই সম্মান প্রদান করে।
- সুন্দরবন। (৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে)।
- কোদলা মঠ। তবে স্থানীয় ভাষায় অযোধ্যার মাঠ নামে বেশি পরিচিত। কোদলা মাঠ আনুমানিক সপ্তদশ শতাব্দীতে তৈরি করা হয়েছিলো বলে বলা হয়। স্থানীয় এবং বই পুস্তকেও এই দুইটি নামেই বলা হয়ে থাকে।
- কবি রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর সমাধি। তিনি ১৬ অক্টোবর ১৯৫৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। এবং ২১ জুন ১৯৯১ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি একাধারে কবি এবং গীতিকার ছিলেন। “বাতাসে লা*শে*র গন্ধ” তার অন্যতম একটি কবিতা। তার স্মরণে বাগেরহাটের মোংলায় গড়ে উঠেছে “রুদ্র সৃতি সংসদ”।
এছাড়াও রয়েছে
- মোরেলের স্মৃতিসৌধ
- নাট মন্দির
- লাউপালা
- দুবলার চর
- কচিখালি
- চিলা চার্চ।
বাগেরহাটের উৎপাদিত রপ্তানিজাত পণ্য সমূহ
দেশে যত চিংড়ি উৎপন্ন হয় তার প্রায় ৭৫-৮৫% চিংড়ি বগেরহাটে উৎপন্ন হয়। তাই বাগেরহাটকে চিংড়ির শহর ও বলা হয়।
দেশ থেকে প্রতি বছর কয়েক লক্ষ মেট্রিক টন চিংড়ি বিদেশে রপ্তানি হয়। এর ৮০-৯০ ভাগ চিংড়ি বাগেরহাট এবং খুলনার অন্তর্গত অন্যান্য জেলা থেকে যায়।
মোটামুটি নিশ্চিত ভাবে বলা যায়, দেশের চাহিদা পূরণ করে সুপারি রপ্তানি খাতে দেশের অন্যতম অবদান বাগেরহাট জেলা এবং খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলা।
একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দেশের ১৬ টি জেলার সুপারির চাহিদা পূরণ করে শুধু বাগেরহাটের ছোট একটি গ্রামে উৎপন্ন সুপারি থেকে।
এবার নিশ্চয়ই বোঝা গেছে বাগেরহাট কিসের জন্য বিখ্যাত। এবার আমরা বাগেরহাটের ঐতিহাসিক কয়েকটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করবো।
বাগেরহাট সম্পর্কিত FAQS
সুপারি, চিংড়ির জন্য বাগেরহাট বিখ্যাত।
বাগেরহাটের আয়তন ৫৮৮২.১৮ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ১৮৩৪.৭৪ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল। এবং ৪০৫.৩ বর্গকিলোমিটার জলাশয় ও অবশিষ্টাংশ নিম্ন-সমভূমি।
দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে খুলনা বিভাগে অবস্থিত।
ষাট গম্বুজ এবং সুন্দরবন। এছাড়াও আরও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
সামাজিক মাধ্যম। বাগেরহাটের বেশিরভাগ মানুষদের নিয়ে একটি ফেসবুক গ্রুপ রয়েছে। যেখানে জেলার সকল মানুষদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব।
বাগেরহাট নিয়ে সর্বশেষ
আজকে মূলত আমরা জানতে পেরেছি বাগেরহাট কিসের জন্য বিখ্যাত এবং এখানের অন্যতম দর্শনীয় স্থান কোনটি।
এছাড়াও বাগেরহাট সম্পর্কে আরও কিছু জানতে চেষ্টা করেছি।
বাগেরহাটের ঐতিহ্য নিয়ে লিখে শেষ করা সম্ভব না। পুরনো একটি শহর বাগেরহাট জেলা। আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি একটু হলেও হেল্পফুল ছিল।
3 thoughts on “বাগেরহাট কিসের জন্য বিখ্যাত । বাগেরহাটের ঐতিহাসিক স্থান সমূহ”